Sunday, April 26, 2015

History



মালিকানা
Inbox
x
https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/profile_mask2.png
Saeeda Sultana <saeeda.sultana365@gmail.com>
Mar 16, ২০১৮
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
to MKhurshidAkhtar, rajnaakhtar, Porychoy, me, morshed, Shanzida, Swami, Morshed, shaikh.shohana
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
Bangla
English
   
Translate message
Turn off for: Bangla
পরিবারের সম্মানিত সুধীজন,
আসসালামু অলাইকুম।। আমি খুব একটা মেইলে আসি না। এখন বিশেষ কারণে মেইলে আসতে বাধ্য হলাম। সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমরা ১২-০৩-২০১৮ তারিখে বাড়ির কাজ শুরু করার জন্য কাছেই একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে সেখানে উঠেছি। একদিনে সেটা সম্ভব না হওয়াতে পরের দিন ১৩//২০১৮ তারিখে মীম তার বাবা সেখানে যায়। ভাবি তখন এসে মীমের বাবার কাছে আমার ফ্ল্যাটের চাবি তাকে দিয়ে দিতে বলে। প্রসঙ্গত: , আম্মা যে স্টীলের আলমারিটা ব্যবহার করতেন, আব্বা মারা যাবার আগে আমাকে সেটা মেঝভাবিকে দেবার কথা বলেছিলেন, যখন তার ফ্ল্যাট হবে তখন তাকে সেটা দিতে। সেই অনুযায়ী আমি ভাইজানকে সে কথা বলেছিলাম। আব্বা মারা যাবার পর দাদা আলমারিটি নেবার কথা বলে। আমি দাদাকে আব্বার ইচ্ছার কথা জানালে দাদা উত্তর দেনআমার জিনিস আব্বা অন্য কাউকে কিভাবে দেয়।ওটা আম্মার আলমারী একথা দাদাকে বললে দাদা বলেন, সাকাত মামা দাদার যে খাটটি নিয়েছিল তার বিনিময়ে নাকি আলমারীবিয়ের আগে আমার জন্য কেনা, আমার ব্যবহার করা ড্রেসিং টেবিল আরো কি কি জিনিস আমি জানি না, সব জিনিসগুলো দাদার। সে হিসাবমতে আলমারিটা দাদার এবং দাদা  কয়েকবার আমাকে বলেছিলেন আমি বাসা ছাড়ার আগে যেন আলমারিটা সিঁড়ির গোড়ায় রেখে যায়। সে মোতাবেক শেফার আব্বা ভাবিকে বলেছিল আলমারি বাইরে রেখে দিচ্ছি, অসুবিধা হবে না।এরপর শেফার আব্বা মীম মিস্ত্রীদের সেখানে রেখে বাইরে চলে যায় কাজ শেষে আলমারি বের করে  দাদার দেখিয়ে দেয়া জায়গায় আলমারি রাখতে গেলে ভাবি মীমকে বলেতোর এত বড় আস্পর্ধা তুই ঘরে থেকে আলমারি বা করস। তু কার বাড়ি থেকেআলমারি বাইর করস? এটা কি তোর বাড়ি? বলে মীমকে থাপ্পড় মারে। সময় মিস্ত্রিরা বাধা দেয়। তিনি নানা আজেবাজে উত্তপ্ত বলে। ভাবি বলে তোর মার অধিকার বেশি না আামার অধিকার বেশি। তোর মা একটা রুম পায় ভাগে। এটা আমার বাড়ি। মীম বলে এসব কথা বলার মানে হয় না। এটা তো সবার বাড়ী। আমাকে এসব কথা বল না। তখন ভাবি মীমকে কয়েকটি থাপ্পড় মারে। মিস্ত্রিরা মালামাল দিতে এলে তারা আমাকে এসব কথা জানায়। তারা জানায় ভাবি মীমকে মেরেছে। খুব খারাপ ব্যবহার করেছে। 

অনেকদিন থেকে ভাবিগং আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে ও গন্ডগোল করেছে। শেফার বাবার কাছে বাড়ি সংক্রান্ত কোন কাজে কেউ এলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয় ভাবি ও দাদা। তারা জানায় তারাই বাড়ির মালিক। মেয়েরা বলে আমাকে হারামজাদী....লাথি মেরে বের করে দিব এভাবে হুমকি দিয়ে এসেছে। অনেক ঘটনা আছে, এসব কথা আমি এখনো প্রকাশ করিনি। 

আমার বক্তব্য হচ্ছে এর কি কোন প্রতিকার নেই। আমি সামান্য কিছু জানালাম মাত্র। আমার স্বামী সব কিছু ধ্বংস করেছে বলে আসছে। আমার সন্তানদের বিনাদোষে আমার উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে গায়ে হাত তোলার স্পর্ধা কোথা থেকে পেল? আমার স্বামী, সন্তান আমার ভদ্রতাকে কেউ যদি দুর্বলতা ভেবে থাকে তাহলে কোনোরকম ভদ্রতা, সভ্যতা বজায় রাখা সম্ভব নয়। আমি তার মতো আমার সন্তানদের গুন্ডা বাহিনী তৈরী করিনি ঠিক। তাই বলে পড়ে পড়ে মার খাবো এটাও ঠিক নয়। সকলের মতামত জানতে চাই। 

যকথায় তারা বলে তারাই বাড়িওয়ালা। আমরা ৫ ভাইবোন উত্তরাধিকার সূত্রে বাড়ি পেয়েছি। সেভাবে বলতে গেলে ভাইজনের হক সবচেয়ে বেশি। সে তো এধরনের কথা কোনদিন বলেনি। সবসময় সে বলে আমি ভাগে একটি রুম পাই, তাহলে আমার প্রশ্ন সে কয়টি রুম পাবে? আইন কি সে শুধুৃ একাই জানে। সে যে টুকু সম্পত্তি পাবে সেটাও ভোগ করার অধিকার তার নেই। 
সেখান থেকে ভাই-ভাতিজারা ভাগ পাবে। সেকথা কি সে কখনো ভেবে দেখেছে?

সাঈদা সুলতানা 

Md. Khalid Umar <mku335@gmail.com>
Mar 19
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
to Khurshid
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
আসলে এধরনের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত কঠিন ব্যপার! তবে মিমকে কেও মারেনি একথা সঠিক। 
বুড়ির মেইল সবটাই দেখলাম, এখানে সত্য/সঠিক নামক কথাটির প্রয়োগ খুবই স্বল্প।
আগের রাতেই সাব্বিরকে আমি বলেছিলাম যাবার সময় চাবিটা ওপশে রেখে যেও, এপাশে পানির মটরটা রয়েছে তাছাড়া কখন কি হয় না হয় এই ভেবে কিন্তু তা না করে খালি ঘরের চাবি নিয়ে যাবার কোন সংগত কারন আমি খুজে পাচ্ছিনা। 
বুড়ির অন্যান্য কথার ব্যপারে কিছুই বলার নেই, বিগত প্রায় ৩৭/৩৮ বছর ধরেই দেখে আসছি। কোনদিন কছু বলিনি তার মানে এই নয় যে ও যা করে তার সবটাই সঠিক। 
আমার কন্ঠ বসে গেছে, কথা বলতে পারবনা তবে সোহেলির মা আজ গালা থেকে ফিরে এলে সেই তোর সাথে কথা বলবে। আজ keep on your
 vibet/whatsapp/imo at 1830- BDT- she will talk with you.
Md. Khalid Umar <mku335@gmail.com>
Mar 19
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
to Khurshid
https://mail.google.com/mail/u/0/images/cleardot.gif
বিষয়টি জানতে চাইবার জন্য ধন্যবাদ
ওদের অবশিষ্ঠ মাল নিতে আসলে সাব্বিরকে তোর ভাবী বলল আলমারিটা বের করার দরকার নেই, রঙ মিস্ত্রী কখন আসে না আসে ঠিক নেই 
তোমরা যাবার সময় চাবিটা দিয়ে যেয়ো। 
আমি থাকবোনা মিম থাকবে
আচ্চা মিমকে বলে দিও।
আচ্ছা আচ্ছা বলব।
তখন আলমারি ভিতরে রেখে তালা দিয়ে মিম চলেগেল। দুপুরে খেতে বসেছি তখন খটখট শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি আলমারিটা বাইরে (ছবি দেয়া হয়েছে) বের করছে। 
কিরে আলমারি বের করলি কেন?
 বাইরে রাখবনা মানে?  আমার বাবা মা যা বলেছে আমি তাই করছি, তুমি মামি তোমার কথা শুনব নাকি বাবা মার কথা শুনব?  আমার বাবা মা চায়না তোমাদের কাছে চাবি দিতে।
বলেই দরজা ধরে টেনে বন্ধ করছিল, 
তোকে নিষেধ করলাম দরজা বন্ধ করতে!
করবইতো! এখানে আমাদের অধিকার আছে, আমরাও মালিক।
তোদের যে অধিকার আছে তাতে তোরা এই একটা রুম পাবি, কাজেই অধিকারের কথা বলে তর্ক করবিনা যা বলেছি তাই কর।
মিম তখন ঠেলে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করতে চাইল।
আমি আবার দরজা খুলতে চাইলাম কিন্তু মিম ঠেলাঠেলি করল তখন আমি ওভাবে রেখে চলে আসলাম, মিম ওর বাবা মার কথমত আলমারি বাইরে রেখে তালা দিয়ে চলে গেল। আমি ওর কাছেই যাইনি তাহলে মারামারিটা হলো কি করে? পরে লেবাররা বলছিল আলমারি ভিতরে রেখে যাবে কিনা জানতে চাইলে বললাম থাক, দরকার নেই।
https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif

https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif

From: Khurshid Akhtar Apr 2, 2018 (2 days ago)
To:  me, Saeeda, sabbirfts, morshed, Shanzida, Swami, Morshed, shaikh.shohana
                                                 

                শ্রদ্ধেয় ভাইজান,
সালাম I

কোথা থেকে কি দিয়ে শুরু করবো ভেবে পাচ্ছি না I বিষয় তো অনেকগুলো, যাই হোক এক এক করে আসছি I
প্রথমে কাজের কথায় আশা যাক বাড়ি এবং ডেভেলপার প্রসঙ্গে I
আপনার পাঠানো লিস্ট অনুযায়ী যেসব কাগজাদি চেয়েছেন সেগুলো হলো:

১/Structural design
২/Article,ID card, Memorandum
৩/Bank solvency
৪/Trade licence                                                                                          
৫/Certified copy of Deed

আপনার পাঠানো টেলিফোনে রেকর্ডিং থেকে এবং সুকৃতি বাবুর ভাষ্য অনুযায়ী উনারা বলছেন সমস্ত ডকুমেন্টস দেয়া হয়েছে কিন্তু আপনি বলছেন কোনো ডকুমেন্টস পান নি I যতদূর জেনেছিস্ট্রাকচার ডিজাইন সয়েল টেস্ট ছাড়া হবে না, সয়েল টেস্ট বাড়ি না ছাড়া পর্যন্ত হবে না এবং একথা আপনাকে নাকি বলা হয়েছে এবং আপনি তা জানেন I
আর্টিকেল অফ মেমোরেন্ডাম শুনেছি কিছু আইনগত জটিলতার কথা আপনাকে তারা জানিয়েছে I এইমাত্র সাব্বিরের একটা ইমেইল পেলাম যেটাতে এই কাগজাদির ব্যাপারে লিখেছে যার জন্য আমি আর না লিখলাম এই ব্যাপারে তারপরেও সুকৃতি দা এবং নজরুল সাহেব কে একটা ইমেইল দিয়েছি যেখানে আপনার এবং সুকৃতিদার উভয় পক্ষের বক্তব্য দেবার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে I

আপনি বেশ কয়েকবার বলছেন ডেভেলপারদের সাথে চুক্তি বাতিল করার জন্য I আমি এর আগে ইমেইলে জানতে চেয়েছিলাম বেশ ভালো কথা চুক্তি বাতিল করবো কিন্তু তারপর কি? তারপর এরচেয়ে ভালো কোনো বিকল্প আছে কিনা? কিন্তু তার কোনো উত্তর দেন নি I এই ডেভেলপার জোগাড় করা পর্যন্ত কত কি হয়েছে না হয়েছে, কে কত জন ডেভেলপার এনেছে বা কে কত জনকে তাড়িয়ে দিয়েছে বা কে কত সহযোগিতা করেছে বা বাধা দিয়েছে তা তো কমবেশি আমাদের সকলেরই জানা আছে I
যতদূর জানি ঢাকা শহরে কোনো ডেভেলোপারই ঝুট ঝামেলা হীন পাওয়া সম্ভব না I গেন্ডারিয়া হিরণ ভাইদের বাসা সাড়ে সাত বছর পর শেষ হলো I সেটাও আবার প্রথম ডেভেলপার বদলিয়ে দ্বিতীয় ডেভেলপার দিয়ে I
আপনি আপনার অংশ বেচতে চেয়েছেন, কবে কিভাবে বেচবেন জানাবেন I সুকৃতিদারা আশাকরি আপনার গ্রাহক জোগাড় করে দিতে পারবে I

দয়া করে কথায় কথায় 'তোমরা এসে তোমাদের বাড়িঘর দেখো' জাতীয় হুমকি দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ রইলো I


মীম প্রসঙ্গ:
এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক একটা ঘটনা যেটা নিয়ে আলাপ করাটাও রুচিতে বাধে I
ভাইজান অনুগ্রহ করে আলমারির ছবি দিয়েছেন যেখানে ওটা রেখে গিয়েছে ওরা কিন্তু আমি যতদূর জেনেছি ভাইজান নিজেই আলমারিটা সেখানে রেখে যেতে বলেছিলেন I হঠাৎ করে ভাবি যদি মত পাল্টে থাকেন অথবা ভাবি যদি না জানেন যে ভাইজান বলেছেন আলমারিটা সেখানে রেখে যেতে, তাহলে সেটাতো উনাদের নিজেদের আভ্ভন্তরীন বেপার I

এটাতো পরের প্রশ্ন, প্রথমে যে কথাটা আসে সেটা হলো আমাকে আগেও জানানো হয়েছিল আব্বার ইচ্ছের কথা, আলমারিটা রাজনাকে দেবার জন্য I আমি বোধ হয় বুঝতে পেরেছিলাম আব্বা কেন রাজনাকে দিতে চেয়েছিলেন কারণ আমি অথবা রাজনা আমাদের কেও ই আব্বা বা আম্মার কোনো কিছুই পাইনি অন্য সব বউই কম বেশি কিছু না কিছ পেয়েছে কোনো না কোনো চিহ্ন বা স্মৃতি হিসেবে একমাত্র বেতিক্রম আমি এবং রাজনা I
এটা জানার পরও ভাইজানের ওই আলমারির মালিকানা দাবি করাটা এবং এনিয়ে এপর্যন্ত গড়ানোটা আমার মনে হয় শুধু লজ্জা জনকই নয় বরঞ্চ ঘৃণাজনকও I যদি আমার হিসেবে ভুল নাহয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই এতদিনে সাখাতের মোবাইল নম্বর জোগাড় করেছেন I

আমি এসমস্ত ব্যাপারে কখনোই ঘুনাক্ষরেও রাজনাকে কোনো কিছু বলি না বা ও এব্যপারে কিছুই জানে না I কারন আমি কখনো চাইনা রাজনা আমাদের পরিবারের এইসব নোংরামির কথা কিছু জানুক I কিন্তু যেহেতু আব্বা আলমারিটা রাজনাকে দিতে বলে গেছেন, এবং এটা আমার নয় বরঞ্চ ওর হক I কাজেই এখানে আমি ওকে জানাতে বাধ্য হয়েছি আব্বার কথা এবং ভাইজানের মালিকানা দাবির কথা I সব কিছু  জানার পর ও অত্যন্ত আবেগতাড়িত হয়ে জানালো তার শ্বশুর তার কথা মনে রেখে একটা জিনিস তার জন্য রেখে গেছে, কাজেই আলমারিটা তার চাই I

ভাইজান বলেছেন 'মিম রইল কত দূরে আর তাকে মারল কেমন করে? যা বলে তাই কানার মত বশ্বাস করছিস। সর্বনাশের বীজ এখানেই বুনেছিস।'
অত্যন্ত সুন্দর কথা বলেছেন আমার কথা হলো, ভাইজান রইলো কত দূরে আর মীমকে মারলো কিনা তা দেখলো কেমন করে? যা বলে তাই কানার মত বিশ্বাস করে সর্বনাশের বীজ এখানেই বুনে ফেলেছে এবং তার ফল শুধু নিজেই না বরঞ্চ সমস্ত পরিবারকে ভোগ করতে হচ্ছে I

ভাবি বলেছেন উনি মীমকে মারেন নি I
এখানে একটা কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, ভাবি যে মীমকে থাপ্পড় মেরেছেন সেটা কিন্তু মীমের মা মীমের কাছ থেকে জানে নি, জেনেছেন সেখানে সেসময় উপস্থিত ঘটনার চাক্ষুস উইটনেস লেবাররা I মীম নিজেও কিন্তু তার মাকে নালিশ করেনি, তার মা লেবারদের কাছ থেকে শোনার পর মীমকে জিজ্ঞেস করতে তখন মীম বলেছে I

ভাবীর ভাষ্য অনুযায়ী 'এখানে আমাদের অধিকার আছে, আমরাও মালিক। তোদের যে অধিকার আছে তাতে তোরা এই একটা রুম পাবি, কাজেই অধিকারের কথা বলে তর্ক করবিনা যা বলেছি তাই কর।'
মীম যদি একথা বলেও থাকে 'এখানে আমাদের অধিকার আছে, আমরাও মালিক' তাহলে তার জবাবে ভাবীর 'তোদের যে অধিকার আছে তাতে তোরা এই একটা রুম পাবি' বলাটা কতটুকু যৌক্তিক তা আমার বোধগম্য নয় I ভাবি এই এক রুমের হিসেবটাই বা কোথা থেকে পেলেন তাও আমার জ্ঞানের বাইরে I
এভাবে অন্য আরেকজনের বাড়ির চাবিই বা চাওয়া যায় কিভাবে? চাবির যদি প্রকৃতই দরকার ছিল তাহলে সেটা আলাপ করেও তো জোগাড় করা যেতো অথবা অন্য কোনো ব্যবস্থা করা যেতো I

এখন প্রশ্ন হলো এক পক্ষ বলছেন থাপ্পড় মারেন নি এবং আরেকদিকে তৃতীয় নিরপেক্ষ উপস্থিত চাক্ষুষ সাক্ষ্যি বলছে মেরেছে I
আশা করি সবাই বুঝতে পারছেন এখানে আসল ঘটনা কি ঘটেছে সেটা বের করা তেমন কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয় I আমার মনে হয় এটা নিয়ে আর বেশি বাড়াবাড়ি না করে এখানেই শেষ করা উচিত কারণ এতে পরিবারের মান সম্মানের প্রশ্ন জড়িত হয়ে পরবে I

তবে এখন থেকে সবাই সাবধান হয়ে যান এধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে I ভবিষ্যতে এরপর যদি আর কখনো এধরণের ঘটনা ঘটে তাহলে কিন্তু আমার চেয়ে খারাপ আর কিছু হবে না এবং ভুলে যেতে বাধ্য হবো সব রিশতা নাতা I এটা কিন্তু কোনো এক পক্ষের জন্য বলছি না I

বাড়ির বড়ো ছেলে বনাম জামাই:
একথা শুনতে শুনতে এখন রীতিমতো একটা বিরক্তিকর ব্যাপার হয়ে গেছে I সবসময় দেখে আসছি একটা বিপরীত শত্রূ মনোভাব যেটা অনেকবার বলেছি শেষ করার জন্য কিন্তু দিনে দিনে দেখছি এটা আরো বেড়ে চলেছে I
এই শত্রু ভাবাপন্ন শুরু যে হয়েছিল তা টের পেয়েছিলাম ১৯৮৫ বা ৮৬ সালের দিকে আমাকে লিখা এক চিঠির মাধ্যমে I সে চিঠিতে লাল কালিতে কিছু অংশ লিখা ছিল এবং বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছিল চিঠিটা পরে ছিড়ে ফেলার জন্য I আমি অবাক হয়ে সেই দুঃসাহসের কথা ভাবছিলাম I সে বিষ তখন আপনার পর্যন্ত গড়ায়নি কিন্তু যেটা আজ আপনাকেও ছেয়ে গেছে I

একথা কেন ভুলে যান যে সম্মান এবং যোগ্যতা কেও জোর করে নিতে পারে না I এটা যে যার প্রাপ্প সে তার কর্ম দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে নেয় I বাড়ির বড়ো ছেলের কর্ম বা দায়িত্ব যদি অন্য কেও তার কর্ম এবং দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠা করে নেয় তাহলে সে জন্য কে দায়ী? কথায় কথায় আপনি বলেন যেটা নাকি আপনার এবং মেয়েদের মাথায় বদ্ধ ভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে টাকা না দিতে পারার জন্য আপনার প্রাপ্প সম্মান কেও আপনাকে দিচ্ছে না I তাহলে আমার প্রশ্ন বাড়ির জামাই কতো টাকা দিয়েছে আমাদের এই সংসারে? আপনি যত টাকা দিয়েছেন সেতো তাও দেয়নি I তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী সেতো আপনার চেয়ে আরো অনেক কম সম্মানের যোগ্য I তাহলে আপনার কথা অনুযায়ী সে কেন বাড়ির বড়ো ছেলের সম্মান এবং যোগ্যতা পেলো? যখন অধিকারের প্রশ্ন আসে তখন বড়ো ছেলে আর যখন কাজের প্রশ্ন আসে তখন জামাই এটাতো হয়না I
যতবার আব্বা আম্মার উপর যত ধরণের বিপদ আপদ এসেছে অথবা শারীরিক চিকিৎসার প্রশ্ন এসেছে কে করেছে সব?  কোনো কিছু হলে আব্বা আম্মা কাকে ডাকতো সবার আগে?
অন্যের কথা জানিনা তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে ঋণী বাড়ির জামাইয়ের কাছে আমার বাবা মার ছেলের দায়িত্ব পূরণ করার জন্য I
আপনি বলেছেন 'আব্বা রোজির নামে ফ্ল্যাট লিখে দিলনা বলে ডাক্তারের কাছে নেয়নি, একথা আব্বা কিকরে বলেছিল?' কত আর নিচে নামবেন?
আপনি বলেছেন 'এর আগে যে কয়টাই ডেভেলপার দেখা হয়েছে প্রত্যেকের কাছে সাব্বির গিয়ে কমিশন বাবদ আকাসপাতাল টাকা চেয়ে কাউকেই কাজ করতে দেয়নি। সুকৃতিবাবু বলেছে সাব্বির সাহেব আমার কাছেও গিয়েছিল' সেতো তবুও এনেছে আপনি কয়টা ডেভেলপার এনেছেন?
আপনি বলেছেন 'আব্বাকে কেন মিরপুর থানায় যেয়ে সাইফুলের টাকার মুচলেকা দিয়ে আসতে হলো'
সাব্বির তার ইমেইলে এর প্রতিবাদ করেছে কাজেই আমি আর লিখলাম না I কই, সাব্বিরের প্রতিবাদের তো জবাব দিলেন না I

আপনি যত বার এবং যেভাবে প্রত্যেকবার সাব্বিরের নামে যেভাবে বলেন সাব্বির অবশ্যই বিভিন্ন সময়ে আপনার বিরোধিতা করেছে কিন্তু সে কখনোই আপনার বিরুদ্ধে এভাবে বলেনি যেভাবে আপনি বলেন তার বিরুদ্ধে I পরিবারের অন্য কেও যার বা যাদের বেক্তিগতো আলাদা গুপ্ত কোনো কারণ থাকা হেতু ভুলে যেতে পারে কিন্তু আপনি কিভাবে ভুলে যান যে সে আপনার বোনের স্বামী? আপনি যদি তাকে সম্মান না করেন তাহলে কিভাবে তার কাছ থেকে সম্মান আপনি আশা করেন? আমাদেরকে কেন ভাই এবং বোনের জামাই থেকে একজনকে বেছে নিতে হবে?

আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ এ দৃষ্টিভঙ্গি বদলান I লোকে সম্মানের বদলে পায় সম্মান আর ঘৃণার বদলে পায় ঘৃণা I

সাব্বির আপনার অভিযোগের প্রতিবাদ করে এবং আপনি যে বারে বারে বলছেন একাগজ ওকাগজ পাননি, সাব্বির তো স্পষ্ট করে বলে দিলো কিন্তু আপনি তো তার জবাব দিলেন না I
একপক্ষ বলছে কাগজ দেয়া হয়েছে, আপনি বলছেন পাননি I আমিতো বুঝতে পারছি না হচ্ছেটা কি? আপনারা তো আর দুই দেশে দুইজন থাকেন না I একসাথে বসে ঠিক করেননা কেন কি পেয়েছেন আর কি পাননি I
আপনি অভিযোগ করেছেন 'সুকৃতিবাবু বলেছে সাব্বির সাহেব আমার কাছেও গিয়েছিল' কমিশনের জন্য I
আপনি কি ভেবে দেখেছেন এটা কতবরো অভিযোগ?
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি, সুকৃতি বাবু অস্বীকার করেছেন আপনার এ অভিযোগ I অর্থাৎ সুকৃতি বাবু নিশ্চিত করেছেন যে সাব্বির উনার কাছে কোনো কমিশন চান নি I

যদি কেও তার ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে এধরনের আচরন করে তাহলে ছিঃ! কত বড় নোংরা জিনিস I আমার যুক্তিতে এধরনের মিথ্যা অপবাদ প্রমানিত হবার পর তা মাফ চাইবার মতো এবং ভবিষ্যতে এধরনের মিথ্যা অপবাদ থেকে বিরত থাকার জন্য মুচলেকা দেবার মত বিষয় I

বড় ভাইকে অসম্মান
আপনি বলেছেন 'সময়মত শাসন করিনি বলে আজ তোরা বড় ভাবী নামে বিচার দেয়া এবং বিচার করার সাহস পাচ্ছিস'I
মীমের ব্যাপারে প্রথম যে ইমেইলটা দিয়েছিলাম সেটা কয়েকবার পড়লাম কিন্তু আমিতো কোথায়ও খুঁজে পেলাম না বড় ভাবীর নামে বিচার দেয়া বা বিচার করার কিছু তবে হ্যা আমার অবশ্য আপনার মত অমন কল্পনা বিলাস ক্ষমতা নেই যা দিয়ে আপনি যে অর্থ খুঁজে পাবেন তা আমার পক্ষে সম্ভব না I কানার মত বিশ্বাস করলে আপনাদের কাছে জানতে চাইতাম না তবে হ্যা, কেও না কেও অবশ্যই কানার মত বিশ্বাস করে আসছে কাওকে না কাওকে I
বলেছেন 'বড় ভাইকে অসম্মান করছিস বলেই তোদের জামাই ও বোন এই সাহস পায়' আবারো ভুল করলেন I বোন এবং বোনের জামাই আপনার কথা অনুযায়ী এই সাহস পায় আপনাদেরই কৃতকর্মের জন্য I কাওকে সালাম করলে জবাবে পায় সালাম আর গালি দিলে পায় গালি I
বড় ভাইকে অসম্মানের কথা বলে আজ আপনি জীবনের এক মস্তবড় ভুল করেছেন I
ডলি আপাকে যখন আপনি স্পন্সরের কথা বলেছিলেন এবং বলেছিলেন আমাকে যেন না বলে মনে আছে? জানেন কেন ডলি আপা রাজি হন নি তখন স্পনসর দিতে? কারণ তখন উনার মনে পরে গিয়েছিলো আমার একটি কথা যেটা ১৯৮৫ সালে কথায় কথায় আমি বলেছিলাম I বলেছিলাম 'যদি আমার বাবা একটি কথা বলেন এবং বড় ভাই বলেন অন্য একটি তাহলে হয়তো বাবার কথাটা অমান্য করবো কিন্তু বড় ভাইয়ের কথা অমান্য করতে পারবো না' I সেই লেবুর সেই বড় ভাই বলছে তাকে না জানানোর জন্য আর তখনি উনি চিনে নিয়েছিলেন আপনাকে I
আজ আরো কিছু বলতে বাধ্য হচ্ছি যেটা আজ ৩৫ বছর ধরে ভুলে ছিলাম I ১৯৮৩ সাল স্থান মতিঝিল এ জি বি কলোনি I আম্মা বললেন ভুলে যাও, আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম আম্মা আপনি রাজি না? আম্মা জবাবে বলেছিলেন 'আমি রাজি কিন্তু তোমার বড় ভাই রাজি না' পাল্টে জিজ্ঞেস করিনি আব্বা রাজি কিনা I জীবনে দ্বিতীয় বার আর ওমুখো হইনি I আর আজ আপনি সেই আমাকে বলছেন বড় ভাইকে অসম্মানের কথা I

গতবারের আগের বার যখন দেশে গিয়েছিলাম তখন কথায় কথায় একবার বলেছিলাম, 'আমরা সব ভাইবোন মিলে এক পাল্লায় আর ভাইজান এক পাল্লায় থাকলেও আমরা সব ভাইবোন মিলে ভাইজানের পাল্লার এক কোনার সমানও হতে পারবো না' মনে আছে?
আর আজ আপনি সেই আমাকে বলছেন বড় ভাইকে অসম্মানের কথা I

আপনি বলেছেন 'বড় ভাইকে অসম্মান করছিস বলেই তোদের জামাই ও বোন এই সাহস পায়। সর্বনাশের বীজ এখানেই বুনেছিস। এই জন্যেই বড় ভাবীকে যাতা বলে যাচ্ছে আর তোদের মত বিবেকহীন, অপদার্থের দল তাই মেনে নিচ্ছে। ছি: লেবু অন্ত তোর কছে এমনটা আশা করিনি'
অবশ্যই কেও না কেও বিবেকহীন অপদার্থ কিন্তু সেটা কে এটা ভাবা উচিত I

সারা জীবন আপনাকে প্রটেক্ট করার চেষ্টা করে এসেছি I সেই যে সেইদিন থেকে যেদিন আপনি আপনার বাবা মা দাদি পুরা পরিবার গালার পুরা পুরান বাড়ির প্রচন্ড বিরোধিতা অমান্য করে (আপনাদের সম্মান রক্ষার্থে উল্লেখ করলাম না, কি উল্লেখ করলাম না তা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন  কারন চেষ্টা করেও অতটা নিচু হতে পারলাম না) কাওকে বিয়ে করলেন, সেইদিন কিন্তু আমি গিয়েছিলাম মদন কাকার কাছে মতি কাকার সাথে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে I সেইদিন কিন্তু প্রথম বার আপনি আপনার টাকার বলে বলীয়ান হয়ে সকলের কথা অমান্য করতে পেরেছিলেন I সেই আপনার শুরু আর কারণটা কি দিয়ে? সেইজন্যই কি ভাবেন সবাই আপনার মত টাকার শক্তি খাটিয়ে চলে?
তারপর থেকে শাশুড়ি বৌয়ের খুঁটি নাটি নিত্য নৈমত্তিক সমস্ত কিছুতে সবাইকে বুঝাতাম যে সিম্যানদের মেজাজ একটু ভিন্ন হবেই I তারপর আল মদিনাতে নগদ কত গেছে সেটার হিসেবে নাই বা করলাম, তার উপর ৭৫ ডেসিমিল জমি গেলো কখনো বলতে পারবেন টু শব্দ টুকু করেছি? আর আপনি লুকিয়ে লুকিয়ে সাভারে শাড়ির দোকান দিলেন অথচ মুখ দিয়ে একটিবার বলেন নিও I আল মদিনা পতনের পর আপনার লন্ডন আসা সেটা সম্পূর্ণ রাজনার কারণে অথচ আপনি করলেন ভিন্ন প্ল্যান কাওকে না জানিয়ে ভাবীকে সাথে আনার I

আপনি বলেছেন 'সবকিছু টাকা দিয়ে বিচার করা যায়না, অবশ্য এ বিদ্যা কোথা থেকে শিখেছিস! 
টাকা কিন্তু আমারও ছিল কিন্তু সেটা দেখাতে পারছিনা আর তোরটা দেখা যাচ্ছে'
অবাক লাগে ভাবতে আপনার বিবেকের এতো অধঃপতন দেখে I আমি লেবু যদি টাকা দিয়ে বিচার করতাম তাহলে এতদিন আপনারা টিকে থাকতে পারতেন না I এ বিদ্যা কোথা থেকে শিখেছি এটা আমার নয় বরঞ্চ আপনার যদি কখনো সময় হয় তবে দয়া করে একটু ভেবে দেখবেন I
আপনি সবসময় আপনার টাকার বা আপনি কি করেছেন সে দাবি করে থাকেন I মেয়েদেরকেও খুব ভালোভাবে এটা শিখিয়েছেন I আমাকে কবে কে বলতে পারবে আপনার মত ওভাবে অমন দাবি করতে? একটু সময় করে ভেবে দেখবেন কোথা থেকে কিভাবে আপনি শিখলেন এসব? এটা অবশ্যই আমাদের বাবা মার শিক্ষা নয় কারণ আমাদের উভয়ের বাবা মা একই I তাহলে কোথেকে কিভাবে কবে থেকে শিখলেন?

এখানে প্রসঙ্গত বলতে হচ্ছে এতদিন যে কোনো জবাব দেইনি সেটা কিন্তু এইজন্য নয় যে দিতে পারিনি I সেই যে প্রথম তানিয়া যে চিঠিটা লিখেছিলো এবং তার পরের প্রত্যেক টির জবাব এবং আপনাদের প্রত্যেক মিথ্যার জবাব, মেয়েদের মাথা যে মিথ্যা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন তার প্রত্যেকটির জবাব আর কারো কাছে থাক বা নাথাক আমার কাছে কিন্তু আছে I তানিয়ার সেই চিঠির জবাব এবং বিভিন্ন সময়ের চিঠির জবাব লিখেও রেখেছিলাম কিন্তু আব্বার আকুতির জন্য সেগুলো ছাড়া হয়নি I সন্তানদের জন্য আব্বার অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে উনার কথা অমান্য করতে পারিনি I বাবার কথা মান্য করাটা দুর্বলতা ভাবার ভুল করবেন না I

দুঃখিত এই ধরনের চিঠি এতো বছর পর দেবার জন্য I আরো অনেক আগে দেয়া উচিত ছিল কিন্তু আব্বার জন্য পারিনি I তখন দিলে হয়তো পরিবারের অনেক সমস্যা কিছুটা হলেও কমতো I

নেইলসওয়ার্থের বাসায় রাজনাৰ ফ্রেঞ্চ স্টিক ব্রেডের কথা কোন বিবেকে দেশে গিয়ে বৌ বাচ্চার কাছে মিথ্যে রং লাগিয়ে মেয়েদের কাছে রাজনাৰ বিরুদ্ধে মন বিষিয়ে তুলতে পেরেছিলেন?
এভাবেই কি তিলে তিলে বছরের পর বছর ধরে আমাদের সবার বিরুদ্ধে মেয়েদের মন বিষিয়ে তুলেছেন?

আজকাল শুনতে পাচ্ছি এক দুঃসাহসী অভিযোগের কথা I আমরা সবাই মিলে নাকি সোহেলীকে মেরে ফেলেছি এবং আমরা সবাই নাকি সোহেলীর মৃত্যুর কারন I
থাপড়াইয়া সব কয়টা দাঁত কইলে খুইলা ফালামু I
চেষ্টা করেও অত নিচে নামতে পারবো না I তবে সামান্য একটু মনে করিয়ে দিতে চাই যে সোহেলীর এই পৃথিবীতে আগমনের পিছে আমাদের মার অবদানের কথা I প্রসঙ্গত ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কে কি জন্য যেতেন এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলাবেন না I

যেদিন আপনার ইলেকট্রিক শক লাগার কথা শুনেছিলাম ভেবেছিলাম হয়তো এবার পরিবর্তন আসবে, মিথ্যে বলার অভ্ভাস টা যাবে কিন্তু না I এর পর আপনার জীবনে থেকে যে এক মস্তবড় সম্পদ আল্লাহ্পাক উঠিয়ে নিলেন তার পরও যদি কোনো পরিবর্তন না আসে তাহলে আল্লাহর হাওলা I



গালার জমিজমা প্রসঙ্গ:
গালার জমিজমা ফয়সালা করা উচিত I আব্বা মারা যাবার পর ওয়ারিশিনা ছার্টিফিকেট বের করেছেন কিনা দয়া করে জানাবেন I বের করে থাকলে সবাইকে কপি দেবার জন্য অনুরোধ করছি I গালার জমির খারিজ করা হয়েছে কিনা বা এব্যাপারে বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ করছি I প্রসঙ্গত রোজি গালার জমি থেকে ওর অংশ বিক্রি করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিল আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে I মীমের জন্য ওর টাকার প্রয়োজন I কাগজ পত্র ঠিকঠাক করার পর যার যার জমি যে যার খুশি মতো বুঝে নিক কি করবে I

রোজির গালার জমি বেচার ব্যাপারে আপনি কিছু করতে পারবেন কিনা? আপনি যদি কিছু করতে না পারেন তাহলে জানাবেন ওর জমি কোনটা এবং ওকে বলে দিন ওযেন নিজেই বেচার বেবস্থা করে I এজন্য যেসমস্ত আইনী কাগজাদির বা আইনী ব্যবস্থাদির প্রয়োজন আশাকরি তা করবেন I আপনি যদি রাখতে চান বা অন্য কেও যদি রোজির অংশ রাখতে চায় তাহলে জানাবেন I

পীরেরবাগ:
আপনার সর্বশেষ মেইল অনুযায়ী আরো নতুন কিছু সংযোজন করেছেন ডেভেলপারদের ব্যাপারে I লিখেছেন 'ইচ্ছা হলেই সবকিছু করা যায়না।
অনেক কাজ বাকি আছে।
১.চুক্তি পত্র নতুন করে করা।
২. Structural design এখন দিতে না পারলেও ওদের কাছ থেকে একটা গ্যারান্টি লেটার নেয়া, যাতে বলবে soil test রিপোর্ট পাবার ৭ দিনের মধ্যে ওটা দিবে।
৩. Article of memorandum পরবর্তনের চিঠির কপি আমাদের কাছে দিয়ে অংীকার পত্র দিবে যে ওটা পাবার সাথে সাথে কপি আমাদের দিবে।
এমনি আরও কিছু করতে হবে। সুকৃতি বাবুর সাথে কথা হয়েছে।'

আমার কথা হলো এতসব বাকির কথা এখন কেন মনে পড়ছে? এতদিন কোথায় ছিলেন? এখন যখন প্লানিং পাশ হয়ে গেছে তখন কেন এসব জিনিসের জন্য কাল ক্ষেপন?

শুক্রবারে সুকৃতি বাবুকে বাসায় ডেকেছিলেন, ভালো কথা I কি কথা হলো বা কি বিষয় কিছুই জানতে পারলাম না I সাব্বির বা রোজি তো আর লন্ডন বা কানাডা থাকে না I ওরা কি ছিল সেমিটিংয়ে? এইসব প্রাইভেট এজেন্ডার মিটিংয়ের রহস্য কি?

সবাইকে মেইলের কপি দেবার কথা আজকের না I অনেক আগে থেকেই এটা বলা হয়ে আসছে অত্যন্ত যুক্ত সঙ্গত কারনেই I কিন্তু আপনার জবাব 'কাকে কখন কি জানাতে হবে সে কথা আমি খুবভাল ভাবে জানি' একটু তেড়ামি জাতীয় মনে হয়নি আপনার কাছে?  অবশ্য সে বোধশক্তি যদি অবশিষ্ট থাকে I
সে যাইহোক I
যদি কেও ভুলক্রমে ভুলে গিয়ে থাকে পীরেরবাগ সহ আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির মালিক:
খালিদ উমর
খুরশীদ আখতার
সায়ীদা সুলতানা
মোর্শেদ আখতার এবং
মাহমুদ হোসেন
অন্য আর কেও না I
আপনি বেশ কবার বলেছেন বাসা ভাড়া করে বাসাভাড়া দিয়ে যাচ্ছেন I এখন আমার বিনীত অনুরোধ দয়া করে বাসা যেহেতু ভাড়া করাই আছে এবং ভাড়ার টাকা দিয়েই যাচ্ছেন তাহলে এইসপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে বাড়িটা খালি করে দিন I বাড়িটা আমি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি I
কবে খালি করছেন জানাবেন I
বিনীত,
লেবু
দাদার বক্তব্যের জবাব
from:
Porychoy Prokashon <sabbirfts@gmail.com>
to:
Saeeda Sultana <saeeda.sultana365@gmail.com>,
rajnaakhtar@aol.com,
morshed akhtar BADAL <mab0906@gmail.com>,
Shanzida Shamsu <shanzida.shamsu@gmail.com>,
Swami <mahmud335@gmail.com>,
mkhurshidakhtar <MKhurshidAkhtar@aol.com>,
Morshed Akhtar <morshed.akhtar@gmail.com>,
"shaikh.shohana" <shaikh.shohana@gmail.com>,
"Md. Khalid Umar" <mku335@gmail.com>

date:
Sun, Mar 25, 2018 at 9:16 PM
subject:
দাদার বক্তব্যের জবাব
mailed-by:
gmail.com
signed-by:
gmail.com
সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যেদাদা পীরেরবাগের বাসার ব্যাপারে অসত্য তথ্য তুলে ধরে আসছেন। আমার সম্পর্কে মিথ্যাচার করে আসছেন দীর্ঘদিনথেকে। এর প্রতিবাদ না করা হলে সকলে তার বক্তব্য সত্য বলে মনে করবে,  তাই আমি নিম্নলিখিত তথ্য তুলে ধরলাম  এর ফলে সব বিষয় সম্পর্কে প্রকৃতসত্য বেরিয়ে আসবে ---

১। দাদা আমার সম্পর্কে যেসব কথা বলেছে , তা সম্পূর্ণ অসত্য। দাদার কাছ থেকে এর উপযুক্ত প্রমাণ প্রত্যাশা করছি। আব্বা থানায় মুচলেকা দিয়েছেন,এর প্রমাণ দিতে হবে

২। দাদা বার বার বলে আসছেন ডেভলোপার কোম্পানী কোন কাগজপত্র দেয়নিএটি মিথ্যা কথা। সকল কাগজপত্র চুক্তির আগে  পরে তারা দিয়েছে।এখন বাকি আছে  Structural design  এটি বাড়ি না ভাঙ্গা হলে করা যাবে না এবং তারা এটি দিতেও পারবে না। নজরুল সাহেব  ডিজাইনের ব্যাপারে দাদাভাবীরোজী  আমারউপস্থিতিতে  কথা জানিয়েছেন।

৩।  ব্যাংক সলভেন্সি না দেয়ার  ব্যাপারটি ঠিক নয়ব্যাংক স্টেটমেন্টে সবকিছু আছে। কোম্পানীর শেয়ার বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আর্টিকেল মেমোরান্ডামের কাজ সম্পুর্ণ হতে সময় লাগবে সেটি কোম্পানী আমাদের জানিয়েছে। এটি পাবার পর আমরা সকল কাগজপত্র আমরা পেয়ে যাব।

৪। দাদা সাইনিং মানির টাকা ভোগ করার পর বলে আসছেন চুক্তিপত্র বাতিল করতে হবে। তাহলে তিনি  টাকা নিলেন কেনতিনি কোন আইন জানেন না যেকিভাবে চুক্তিপত্র বাতিল হয়। পীরেরবাগে এমন কি ঢাকার শহরের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার বাড়ি পড়ে আছে, তারা কেউ চুক্তিপত্র বাতিল করতে পারেনি। দাদা কোন আইনের সূত্রে ধরে চুক্তিপত্র বাতিল করতে চান, সে আইনের ব্যাখা দাদাকে দিতে হবে।

৫। একমাত্র দাদা ছাড়া সকলে চান বাড়িটি হোক এ জন্য দাদা একের পর এক নাটক তৈরি করছে।
সাব্বির
https://ssl.gstatic.com/ui/v1/icons/mail/images/cleardot.gif





No comments:

Post a Comment